শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে ভারত যখন পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে, তখন পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সীমান্তে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত, যার জবাবে সিমলা চুক্তিও স্থগিত করে পাকিস্তান। পাশাপাশি দুই দেশেই বন্ধ হয়ে গেছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও আকাশসীমা।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতের পর ভারত কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, যাকে পাকিস্তান ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধ প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং কয়েকটি সীমান্তবেষ্টিত অঞ্চলে পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, তারা কেবল সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা করেছে। এসব ঘাঁটি পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত হয় বলে ভারত দাবি করে আসছে। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে ভারত বহুবার এ বিষয়ে নথিপত্র জমা দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ভারতের অধিকার এবং দায়িত্ব।’’
অন্যদিকে, কূটনৈতিক মহল মনে করছে, সিন্ধু পানি চুক্তি ও সিমলা চুক্তি স্থগিত হওয়ার অর্থই হলো, দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তি ভেঙে পড়েছে। একসাথে আকাশসীমা ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বব্যাপী বড় ধরণের প্রভাব পড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্বিপাক্ষিক সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।
Leave a Reply